|
Japnais Temple
|
Toy Train Darjeeling
টয় ট্রেন
টয় ট্রেন”-নামেও পরিচিত, এই দার্জিলিং হিমালয় রেল নিউ জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং-য়ের মধ্যে চলাচল করে এবং এটি একটি সংঙ্কীর্ণ গেজের রেলপথ। এই রেলপথটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যগত স্থান এবং এই রেলপথে দার্জিলিং ভ্রমণকালে পর্বতের এক অতীব সৌন্দর্য্য দৃশ্যমান হয়।
|
Japnais Temple |
জাপানি পীস্ পাগোডা
এই জাপানি পীস্ পাগোডা-টি নিপ্পোনজান মাইওহোজি নামে এক জাপানি বৌদ্ধের আদেশে নির্মিত হয়েছিল। এই পাগোডাটি জালাপাহাড় পর্বতের ঢালে অবস্থিত এবং এখানে পায়ে হেঁটে বা ট্যাক্সির মাধ্যমে আশা যায়।
|
Japnais Temple |
এই জাপানি পীস্ পাগোডা, এটি দার্জিলিং এর একটি দর্শনীয় স্থান।এখানে বিভিন্ন দেশের পর্জটক এসে ভির জমাই।
|
Rock Garden |
রক গার্ডেন
হোটেল থেকে আমরা প্রথমে
গেলাম রক গার্ডেন। পাথরে পাথরে সাজান আর ঝর্নার পানির ধারা বয়ে চলা এক অপূর্ব এলাকা এই রক গার্ডেন।
|
Rock Garden |
লালন আর আমি প্রথমে উপরে উঠলাম। পাহাড়ের চূড়া থেকে ঝর্নার পানি পড়ার সময় পাহাড়ের অনেক জায়গায় ছোট ছোট ঝর্নার মত হয়েছে।
|
Rock Garden |
কত রকমভাবে যে ঝর্না তৈরী হয়ে আছে, এখানে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সুন্দর বাধানো রাস্তা আর ফুলের বাগান যেকনো মানুষের ক্লান্তি দূর করে দিবে।
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Rock Garden |
|
Darjeeling Zoo |
দার্জিলিং চিড়িয়াখানা-
দার্জিলিং চিড়িয়াখানা আমাদের জন্য ছিল অনেক বিষ্ময়কর। এখানে প্রানীগুলো সব ছেড়ে দেয়া। দার্জিলিং একটি পাহাড়ী শহড়। পাহাড়কে ঠিক রেখেই যেভাবে সম্ভব হয়েছে শহড় বানিয়েছে। পাহাড়ের উপরেই চিড়িয়াখানা। পাহাড়ের ঢালে বাউন্ডারী ওয়ালে ঘেরা খোলা জায়গায় হরিন, চিতা, পান্ডা, মোরগ, বাঘ, নেকড়ে, শিয়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার 'ইন্ডিয়ান টাইগার' নামে বন্দী আছে।
|
Darjeeling Museum |
মাউন্টেইন মিউজিয়াম -
হিমালয় জয়ের বিভিন্ন ছবি আর ইতিহাস নিয়ে আছে এই একটি মিউজিয়াম। আমি আর লালন মিউজিয়ামটা ভালভাবে ঘুরে দেখলাম ও উপলব্ধি করলাম।
|
দার্জিলিং এর মেঘ |
|
Tenzing Rock Hill |
তেনজিং রক-
তেনজিং হিমালয়ের চূড়ায় উঠেছিলেন। ব্যাপারটা এমন না যে তিনি একদিন দড়ি নিয়ে হিমালয়ে হাটা দিয়েছিলেন। তার আগে অনেকদিন প্রাকটিস করেছেন। প্রায় ৫০ ফিট উচু এক পাথর স্তম্ভে চলেছে তার প্রাকটিস। এই পাথরটিই হচ্ছে 'তেনজিং রক'।
|
Darjeeling Tea Garden |
টী গার্ডেন-
তেনজিং রক পেরিয়ে আমরা গেলাম দার্জিলিং এর প্রথম চা বাগানে। এই বাগানেই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চা বাগান করা হয়েছিল সেই বৃটিশ আমলে। বাগানের পাশেই ট্যাক্স ফ্রী কিছু দোকান আছে। গাড়ী যে দোকানের সামনে পার্ক করবে আপনাকে সেই দোকান থেকেই চাপাতা কিনতে হবে।
|
Darjeeling |
|
Darjeeling |
|
Darjeeling |
|
Darjeeling Road |
|
Tibetan Road |
|
Tibetan Self Helf Centre |
|
Darjeeling |
|
New Jalpaiguri |
|
New Jalpaiguri jn |
|
Digha Sea Beach |
|
Digha Sea Beach |
|
Digha Sea Beach |
|
Digha Sea Beach |
|
Digha Sea Beach |
|
Digha Science City |
|
Jurassic Park |
|
Digha Science City |
|
Digha Science City |
|
Kolkata city |
|
Kolkata Eden garden |
ইডেন গার্ডেন:
কোলকাতার পরবর্তী সুন্দর ও জগৎবিখ্যাত আকর্ষণ হলো ইডেন গার্ডেন যার পাশে
মনোহারী লেক রয়েছে সেই সাথে রয়েছে অসাধারণ এক স্টেডিয়াম যা এর বিশালত্ব ও
স্থাপত্যের কারণে ভ্রমণকারীদের মনে ছাপ ফেলে।
|
East Bengal Club |
|
Kolkata Fort William |
|
Victotia Memorial Hall |
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল:
রাণী
ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে শ্বেত পাথরের তৈরী এই জাদুঘরটি অতীত বৃটিশ রাজত্বের এক বিশাল
সংগ্রহশালা। মেমোরিয়ালের স্থাপত্য আকর্ষন ও এর পার্শ্ববর্তী পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ
করবেই।
|
Victotia Memorial Hall |
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল- কলকাতার বিখ্যাত গড়ের মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত স্মৃতিভবন। ১৯০১ সালে ৯৪ বছর বয়সে মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে সাদা মার্বেল পাথরের এই ভবনটি নির্মিত হয়। লর্ড কার্জন এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। তাঁর মূল পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিশাল বাগিচার মাঝে একটি সৌধ এবং সেই সাথে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের স্মৃতিবাহী নানা সামগ্রী সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর নির্মাণ।১৯০৬ সালের ৪ জানুয়ারি এই ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রিন্স অফ ওয়েলস হিসেবে ভারত সফরে আসা পরবর্তীকালের রাজা পঞ্চম জর্জ এবং ১৯২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রিন্স অফ ওয়েলস ও পরবর্তীকালের রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড।
|
Victotia Memorial Hall |
স্মৃতিসৌধটিতে অনেক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ একটি সঙ্কর রীতির
প্রকাশ ঘটেছে। যেমন, ইতালিয় রীতির মূর্তি, মুগল রীতির গম্বুজ, তাজমহলের
ন্যায় সাদা মার্বেলের ব্যবহার, সুউচ্চ উন্মুক্ত স্তম্ভশ্রেণি। সবকিছু
মিলিয়ে এটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্য শৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন। ভারতে ঔপনিবেশিক
স্থাপত্য রীতিটি গড়ে উঠেছিল ইউরোপীয় রীতির সাথে ইন্দো-ইসলামিক রীতির যথার্থ
মিশ্রণে। ভারতে ইউরোপীয় উপনিবেশ এবং সেই সাথে ব্রিটিশ শাসন ভারতের স্থাপত্যে
এক গভীর প্রভাব বিস্তার করে। এই রীতির স্থাপত্যিক প্রকাশ দেখা যায় গির্জা,
ব্যারাক, দুর্গ, আবাসিক ও প্রশাসনিক ভবন ইত্যাদিতে।
ব্রিটিশরা ভারতে স্থাপত্যশিল্পে নতুন কিছু কারিগরী শৈলীর
সূচনা করে, যা ছিল সে সময় ভারতীয়দের ব্যবহূত পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ভারতে ইউরোপীয় স্থাপত্য
রীতির শ্রেষ্ঠ নির্দশন। এটি স্বাধীন ভারতে আধুনিক স্থাপত্যরীতির পথ নির্দেশনা
দিয়েছে।
|
Victotia Memorial Hall |
ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট স্যার
উইলিয়াম এমারসন এই ভবনের পরিকল্পনা ও নকশা প্রস্ত্তত করেন। তবে
সুপারিনটেন্ডেন্ট আর্কিটেক্ট হিসেবে এর নির্মাণকাজ তত্ত্বাবধান করেন ভিনসেন্ট জে
ইস্চ (Vincent J Esch)। তিনি ছিলেন বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট
ইঞ্জিনিয়ার। ১৯০২ সালে এমারসন তাঁকে ভবনের মূল নকশার ওপর একটি স্কেচ দাঁড় করার
দায়িত্ব দেন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয় কলকাতার মেসার্স মার্টিন অ্যান্ড
কোম্পানি।
তবে মেমোরিয়াল নির্মাণের মূল কাজটি অত্যন্ত শ্লথ গতিতে
অগ্রসর হতে থাকে। ১৯০৫ সালে কার্জন যখন ভারত ছেড়ে যান তখন এর কাজ ঠিক মতো শুরুই
হতে পারে নি। এই শ্লথ গতির পেছনে কারণ হলো, কার্জনের পর যিনি ভারতে ভাইসরয়ের
দায়িত্ব নিয়ে আসেন তিনি তাঁর পূর্বসূরির মতো মেমোরিয়ালের ব্যাপারে ততটা উৎসাহ
দেখান নি; আর সেই সাথে ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও
দীর্ঘসূত্রিতা চলে। পরিকল্পনার সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯০৪
সালে এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৯০৬
সালে। আর ভবনের উপরি-কাঠামোর নির্মাণকাজ শুরু হয়।আরও
চার বছর পর ১৯১০ সালে। ইতোমধ্যে ইস্চ নিজেকে কলকাতার শ্রেষ্ঠ স্থপতি হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন। তখন তাঁকে সরকারিভাবে প্রকল্পের সুপারিনটেন্ডেন্ট
আর্কিটেক্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
|
Victotia Memorial Hall |
স্যার উইলিয়াম এমারসন ভিক্টোরিয়া
মেমোরিয়ালের নকশা ইতালিয় রেনেসাঁর স্থাপত্যিক রীতিকে অনুসরণ করেই গড়ে
তুলেছিলেন, যদিও তাজমহলের সাথে এর সাদৃশ্য বিদ্যমান। এমারসন এটিকে পশ্চিমা ডিজাইন
হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও এতে ভারতীয় বৈশিষ্ট্যই প্রকাশ পায়। সাদা
মার্বেল পাথরে এটি নির্মাণের জন্য লর্ড কার্জন প্রথম থেকেই জোরালো মত প্রকাশ করেন।
এ ছাড়াও এর গঠনপ্রক্রিয়ায় তাজমহলের প্রভাব পরিদৃষ্ট হয়; যেমন, এর গম্বুজ,
পার্শ্ববর্তী ক্লাস্টার্ড অষ্টভুজাকার গম্বুজ ছত্রী, সুউচ্চ জাঁকালো প্রবেশ তোরণ,
উন্মুক্ত চত্বর, গম্বুজ আচ্ছাদিত কর্নার টাওয়ার
ইত্যাদি। এমনকি এই দুই স্থাপত্যের উদ্দেশ্যের মধ্যেও সাদৃশ্য বিদ্যমান। তাজমহলের
মতো এটিও এক সম্রাজ্ঞীর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত।
৬৪ একর জমির উপর লন, পুকুর, গুল্মরাজি ও লতাপাতায় ঘেরা বিশাল উন্মুক্ত অঙ্গনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংস্থাপিত। কলকাতায় সম্ভবত এরূপ মনোরম ও উন্মুক্ত অঙ্গন দ্বিতীয়টি নেই।
ভবনটির দৈর্ঘ্য ১০৩.০২ মিটার, প্রস্থ ৬৯.৪৯ মিটার এবং ‘অ্যাঞ্জেল অব ভিক্টরি’
মূর্তি পর্যন্ত এর উচ্চতা ৫৬.০৮ মিটার। মূর্তিটি আরও ৪.৮৮ মিটার উঁচু। মেমোরিয়াল নির্মাণে ব্যয়িত মোট ১,০৫,০০,০০০ টাকার সবটাই সংগৃহীত
হয়েছে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও ভারতের দেশীয় রাজন্যবর্গের স্বেচ্ছাপ্রদত্ত অর্থ থেকে। বলা হয়ে
থাকে যে, ভবনের সম্পূর্ণ নির্মাণ সামগ্রী বহনের জন্য প্রইয়োজন ছিল একটি ২৭
কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেনের। ভবনের সর্বমোট ওজন হিসাব করা হয়েছে ৮০,৩০০ টন এবং
ব্যবহূত মার্বেলের মোট পরিমাপ ৪৫০.২৪ ঘন মিটার। মার্বেল সংগ্রহ করা হয়েছিল রাজস্থানের
মাকরানা থেকে। এখান থেকেই সম্রাট শাহজাহান তাজমহলের
জন্য মার্বেল সংগ্রহ করেছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবহণ খরচসহ মার্বেলের মোট
মূল্য হিসাব করা হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। পরে অবশ্য ভারতীয় রেলবিভাগ
পরিবহণ চার্জ দাবি না করলে মার্বেল বাবদ ব্যয় ২
লক্ষ টাকা কমে যায়।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ২৫টি
গ্যালারির সমন্বয়ে গঠিত। ‘কুইন্স হল’টি আকর্ষণের মূল কেন্দ্র। এর সকল দেওয়ালে
মহারানীর ঘোষণা লিপিবদ্ধ। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন ঘটনার অঙ্কিত চিত্র যেমন-
তাঁর সিংহাসনারোহণ, তাঁর বিয়ে, তাঁর পুত্র ও উত্তরাধিকারীর ব্যাপটিস্টকরণ,
রাজপুত্রের বিবাহ, ফ্রগমোরে তাঁর বাসভবন ইত্যাদি দ্বারা গ্যালারি সজ্জিত। রানীর
ব্যবহূত কিছু সামগ্রী, যেমন- শৈশবে ব্যবহূত তাঁর পিয়ানো,
উইন্ডসোর প্রাসাদে দৈনন্দিন চিঠি-পত্র লেখার জন্য ব্যবহূত তাঁর টেবিল ও চের,
ভারতীয় প্রজাদের উদ্দেশ্যে লেখা তাঁর শেষ চিঠি ইত্যাদি।
মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে আরও আছে বিভিন্ন সময়ে ভারতবর্ষে আসা বিখ্যাত ব্রিটিশ
নাগরিকদের প্রতিকৃতি; যেমন, মেকলে, কিপলিং, বিশপ হেবার, উইলিয়ম হিকি প্রমুখ। নিজ যোগ্যতায় ভারতীয় কিছু ব্যক্তিও এখানে
স্থান করে নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেশবচন্দ্র সেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর। কিছু
দলিল-পত্রও এখানে সংরক্ষিত আছে, এর মধ্যে রয়েছে নন্দকুমারের জালিয়াতি
সম্পর্কিত দলিল যার জন্য তাঁকে অন্যায়ভাবে
প্রাণদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এছাড়াও আছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের স্মৃতিবাহী বিভিন্ন
নিদর্শনাদি, যেমন- রানী মেরী, পঞ্চম জর্জ ও অন্যান্যদের আবক্ষ মূর্তি, ১৭৫৭ সালে
পলাশীর যুদ্ধে দখলকৃত ফরাসি কামান ইত্যাদি।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রধান আকর্ষণীয় বস্ত্ত হলো রানী ভিক্টোরিয়ার বিষণ্ণ বিশাল একটি মূর্তি। এর দুদিকে রয়েছে দুটি সৃদুশ্য
জলাশয়। ভারত শাসনকারী অনেক শাসকই রোমান রীতির
পরিচ্ছদাবৃত হয়ে এখানে প্রস্তর মূর্তিতে উপস্থাপিত, যেমন- লর্ড ক্লাইভ, ওয়ারেন হেস্টিংস, কর্নওয়ালিস, ওয়েলেসলী
এবং লর্ড ডালহৌসী।
এমারসনের নকশা অন্যান্য আরও অনেকের সংযোজন দ্বারা আরও
বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হয়েছে। ভিনসেন্ট ইস্চের প্রধান অবদান হলো উদ্ভাবনী আদর্শের
দ্বারা পরিবর্তিত ভিত্তি-নকশা। তবে তিনি প্রধান প্রবেশ তোরণের ভাস্কর্যসমূহ
নির্মাণ, উত্তরাংশের অসাধারণ সেতুর নকশা প্রদান, ফটক ও বাগিচার মনোরম অলঙ্করণও তত্ত্বাবধান
করেছিলেন। উত্তর পোর্চের উপরে ভাস্কর্যগুলি মাতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও শিক্ষার প্রতীক
হিসেবে নির্মিত। প্রধান গম্বুজকে ঘিরে থাকা ভাস্কর্যগুলি শিল্প, স্থাপত্য, ন্যায়বিচার,
বদান্যতা ইত্যাদি জ্ঞাপক। প্রশস্ত ও মনোরম বাগান ভবনের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ
বাড়িয়ে দিয়েছে।
গম্বুজ শীর্ষে হাতে বিউগলসহ ভিক্টোরি নামে অভিহিত ব্রোঞ্জের
দেবী মূর্তিটি একটি কৌতূহলোদ্দীপক সংযোজন। প্রায় পাঁচ মিটার উঁচু ও ৩,৫০০
কিলোগ্রাম ওজনের মূর্তিটির বেদিতে বল-বিয়ারিং
সংযোজিত। বাতাসের গতিবেগ খুব বেশি হলে জায়গায় দাঁড়িয়ে
মূর্তিটি অবলীলাক্রমে ঘুরতে পারে। মনুমেন্টের বাগানকে সৌন্দর্যমন্ডিতকারী
ভাস্কর্যগুলি ইটালিয় শিল্পিদের শিল্পকর্ম। উত্তর দিকে অবস্থিত আর একটি আকর্ষণীয় ভাস্কর্য
হলো সিংহ-মস্তক মূর্তি। এই মূর্তিটি থেকে পানির চারটি ধারা চারটি পথে প্রবহমান, যা
ভারতের চার প্রধান নদী- সিন্ধু, গঙ্গা, যমুনা ও কৃষ্ণার প্রতীক।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
বর্তমানে বহু চিত্রকর্ম, প্রাচীন পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভারতে ব্রিটিশ শাসনামলের বহু
স্মৃতি বহন করে চলেছে। সব মিলিয়ে এখানে প্রায় ৩,৫০০টি
নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে কলকাতায় পর্যটকদের
অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
|
Houra Station Kolkata |
|
Houra Bridge |
হাওড়া ব্রীজ–
আমি বর্ণনা করবো না – সাইট
সিইং এর তালিকায় রাখতে পারেন- আপাদমস্তক লৌহ নির্মিত সম্পূর্ণ থামহীন একটি ব্রীজ।
|
Alipur Zoo |
আলিপুর পশুশালার আয়তন ৪৫ একর।
এখানে একটি সরীসৃপ ভবন, একটি বনমানুষ ভবন, একটি হস্তীভবন ও একটি প্যান্থার ভবন রয়েছে। প্যান্থার ভবনের পিছনে বাঘ ও সিংহের জন্য ওপেন এয়ার এনক্লোজার রয়েছে। একটি আলাদা শিশুদের চিড়িয়াখানাও রয়েছে। চিড়িয়াখানার মাঝের জলাশয়ে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে।চিড়িয়াখানার সম্মুখস্থ রাস্তার উল্টোদিকে চিড়িয়াখানা অনুমোদিত কলকাতা অ্যাকোরিয়াম অবস্থিত।
|
Alipur Zoo |
|
Alipur Zoo |
আগে প্যান্থেরা হাইব্রিড ও জায়ান্ট এল্যান্ডও ছিল। এগুলিই চিড়িয়াখানার জনপ্রিয় জন্তুজানোয়ার। এছাড়া চিড়িয়াখানায় প্রচুর আকর্ষণীয় পাখি রয়েছে।
|
Alipur Zoo |
|
Kolkata University
আশুতোষ শিক্ষাপ্রাঙ্গন-
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গনটি মধ্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে ২.৭ একর জমিতে অবস্থিত।এই শিক্ষাপ্রাঙ্গনটি "আশুতোষ শিক্ষাপ্রাঙ্গন" নামে পরিচিত। দ্বারভাঙা ভবন, আশুতোষ ভবন, হার্ডিঞ্জ ভবন ও শতবার্ষিকী ভবন নিয়ে গঠিত হয়েছে এই আশুতোষ শিক্ষাপ্রাঙ্গনে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও এখানে অবস্থিত।শতবার্ষিকী ভবনে আশুতোষ মিউজিয়াম নামে একটি মিউজিয়াম ও আছে।
|
মান্নাদের কফি
হাউজ
মান্নাদে আর নেই... কফি হাউজের সেই আড্ডাটা সত্যিই আজ থেমে
গেল...
কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনের রাস্তার ওপারে ই
কফি হাউজ অবস্থিত... প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনের রাস্তাকে বলে কলেজ ষ্ট্রীট... এটা
আমাদের দেশের নীলক্ষেতর মত একটা অবস্থা.. রাস্তার পাশে ছোট ছোট বইয়ের দোকান..
বেশীরভাগ পুরাতন বই বিক্রি হয় এখানে...তবে এখানে অনেক দূষ্প্রাপ্য বই পাওয়া
যায়...বইএর জন্য জায়গাটা বিখ্যাত বাজার।কফি হাউজের সাইবোর্ড ও বিল্ডিং। বাহির
থেকে দেখতে অত্যন্ত পুরনো আর জরাজীর্ন অবস্থা। এই কফি হাউজ নিয়েই "কফি
হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই.." গানটা লেখা হয়েছিল...
রাস্তা থেকে বোঝার উপায় নেই এর ভেতরে বিখ্যাত কফি সপ
আছে। কফি হাউজ যে ভবনে অবস্থিত তার নাম "এ্যালবার্ট হল" এই ভবনের
দোতালায় কফি হাউজ অবস্থিত... এই ভবনে প্রবেশের জন্য একটি নীল দরজা আছে।
নীল দরজাতে প্রবেশের পর দোতালাতে
কফিহাউজে যাবার সিড়ি।কফি হাউপ শপটি বিল্ডিংএর দোতালাতে অবস্থিত। এই সিড়ি দিয়ে
দোতালায় যেতে হয়।
ওই যে ডানে যে দরজাটা দেখছেন, এটা কফি হাউজে প্রবেশ দরজা।
এই সেই কফি হাউজের ভেতরের ব্সার স্থান।
|
Kolkata Coffee House
কফি হাউজের ভেতরের কফি খাবার ও বসার স্থান...
কফি হাউজের একটু বর্ননা না দিলেই নয়, এটা মূলত একটা বিশাল
বাড়ির দোতালায় অবস্থিত একটা হল রুমের মত স্থান... যে হল রুমটা বাড়িটির দোতালা ও
তিন তলা মিলে হলরুমটি তৈরি হয়েছিল... এটা মূলত ছিল "এ্যালবার্ট
হল" নামের একটি হল রুম.. যেটা অতীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছিল...
পরবর্তীতে হলটি "কফি হাউজ" রেষ্টুরেন্টে পরিতন হয়...
|
বিল্ডিংএর ৩ তলা যেটা কিনা হল রুমের দোতালা, সেখানে প্রবেশ করলে দেখা যাবে যে এটা মূলত একটা লবির মত বারান্দা টাইপ জায়গা, এখানেও বসে কফি খাবার ব্যবস্থা আছে।
দোতালা থেকে কফি হাউজ টা এমন দেখা যায়।
কফি হাউজের রাজকীয় ড্রেস পরা ওয়েটার...
|
Jorashako Thakurbari |
|
Jorashako Thakurbari |
|
Jorashako Thakurbari |
|
Jorashako Thakurbari |
|
Jorashako Thakurbari |
|
Jorashako Thakurbari |